কুষ্টিয়ায় এক মেম্বারের ছেলের দাপট, দিনেদুপুরে সরকারি গাছ কর্তন!
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা বাজারের রাস্তার সাথের সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়াই দিনেদুপুরে কেটে নিলেন স্থানীয় সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলীর ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন। এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়ন এর কাজের কথা প্রচার করছেন তোফাজ্জেল। দহকুলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার সাথে বগাই নিম গাছের গুঁড়ি পরে রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় গত শনিবার সকালে তোফাজ্জেল তার লোক দিয়ে গাছ কেটে নেয়। সে এই গাছ তোফাজ্জেল ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে গাছ ব্যবসায়ী মহিরউদ্দীনের কাছে। দহকুলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, এই গাছ সরকারি। কিভাবে টেন্ডার ছাড়াই এই গাছ কাটা হলো আমার জানা নেই। আলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, দহকুলা বাজারের বগাই নিম গাছটি দীর্ঘদিনের। এটা সরকারি গাছ।
দহকুলা দার উস সালাম হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস (মেম্বার) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। মাদ্রাসার উন্নয়ন করার জন্য গাছ কাটা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জানিনা তবে কে এই উন্নয়নের জন্য সরকারি গাছ কাটলেন।
এবিষয়ে তোফাজ্জেল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী সমির এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি স্যার ফোন দিয়েছিলেন। আমি সরজমিনে গিয়ে জানতে পারি যে এই গাছ স্থানীয় মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য কেটে বিক্রয় করছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়ন করতে এই গাছ কেটেছে বলে আমি স্যারকে জানিয়েছি। আইন মেনে এই গাছ কর্তন করা হয় নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সেখানে আলামপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিসার কে পাঠিয়েছি। তিনি বিষয়টি আমাকে রিপোর্ট করবেন।